ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও সিলেট জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজনের ওপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে।
পূজন নিজে রোববার এই মামলা করেন।
এজাহারের পর দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালত ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সুমন ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানা পুলিশকে তা দ্রুত বিচার আইনে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিজাম উদ্দিন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় প্রবাল চৌধুরী পূজনের বাসায় হামলা চালায় তিন শতাধিক লোক। তারা মোটরসাইকেলযোগে এসে বাসায় হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীররা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছোড়ে। এ সময় পূজনের পায়ে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।
পূজনের অভিযোগ, হামলাকারীরা সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বাণিজ্য ও নেতাকর্মীদের চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত হওয়ার অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার জের ধরে এই হামলা চালানো হয়।
পূজনের বাসা নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাটের অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে একদল লোক মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে এসে পূজনের বাসায় হামলা চালায়। এ সময় তাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতেও শোনা যায়।
প্রবাল চৌধুরের ওপর হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। চার সদস্যের কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। অযথা ছাত্রলীগকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমরা এ হামলার বিষয়ে কিছু জানি না।’