বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাঙ্গাইলে সড়ক ভেঙে নদীতে: যান চলাচল বন্ধ

  • প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল   
  • ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৯:২১

সেতুর পাশের সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে এপারের যানবাহন ওপারে যেতে পারছে না। সাধারণ মানুষ হেঁটে যেতে পারলেও যানবাহন সেতুর দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে। 
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ চারাবাড়ি এসডিএস সেতুর পাশের সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ধীরে ধীরে সড়কের একটি অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরেজমিনে রোববার সকালে দেখা যায়, সেতুর পাশের সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে এপারের যানবাহন ওপারে যেতে পারছে না। সাধারণ মানুষ হেঁটে যেতে পারলেও যানবাহন সেতুর দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদনগর, পোড়াবাড়ি ও কাতুলী ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানায়, সেতু নির্মাণের পর থেকেই বালু ব্যবসায়ীরা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় অতীতেও এ সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে পড়ে। পরে এলজিইডি পুনরায় সেটি নির্মাণ করে। এরপরও বালু ব্যবসায়ীদের সুযোগ পেলেই রাতের আঁধারে বালু বিক্রি করায় সম্প্রতি নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে শনিবার সকালে সড়কের একটি অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়। তারা আরও জানায়, টাঙ্গাইল শহরের সঙ্গে সদরের পশ্চিম চরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। সেতুর পাশ থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধ ও কোনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে প্রতি বছরই আমাদেরকে এই ভোগান্তি পোহাতে হবে। পাশেই তোরাপগঞ্জ পরিবহনের স্ট্যান্ডও শনিবার থেকে বন্ধ । বন্ধ রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যও। জনভোগান্তি দূরীকরণে দ্রুত সড়কটি মেরামতের কাজ করে যোগাযোগের সুযোগ করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তাদের।

কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে সেতুর পাশে মাটি কাটা হয়। সে কারণে সেতুর পাশটা প্রতি বছরই ভেঙে যায়। এই সেতু দিয়ে যেসব যানবাহন চলাচল করতো সেটি শনিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন আলী বলেন, ‘আমরা স্থানটি পরিদর্শন করেছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতাদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ভাঙনকবলিত স্থানে ইতোমধ্যে ২০০ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আরও ২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে আজকের মধ্যেই।’

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

এ বিভাগের আরো খবর