বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি!

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা   
  • ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:২০

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবদুল করিম খন্দকার বলেন, ‘শিশুটিকে কোলে নিয়ে আউটডোরে টিকিট কাটতে যান নানী। টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে তিনি শিশুটিকে অন্য এক মহিলার কোলে দেন। এই ফাঁকে সন্তান চুরি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন শিশুটির মা আয়েশা ও নানী। তবে শিশুটি চুরি হয়েছে নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো ঘটনা আছে তা পুলিশ ভালো বলতে পারবে।’

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালের নবাব ফয়জুন্নেছা গাইনি ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। চলছে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবদুল করিম খন্দকার বলেন, ‘৯ আগস্ট হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে কন্যা শিশুটির জন্ম হয়। আজ (রোববার) সকালে শিশুটিকে কোলে নিয়ে আউটডোরে টিকিট কাটতে যান নানী নূরজাহান বেগম। টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে তিনি শিশুটিকে অন্য এক মহিলার কোলে দেন। এই ফাঁকে সন্তান চুরি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন শিশুটির মা আয়েশা ও নানী। তবে শিশুটি চুরি হয়েছে নাকি নেপথ্যে অন্য কোনো ঘটনা আছে তা পুলিশই ভালো বলতে পারবে।’

শিশুটির মা আয়েশা বেগম জানান, তাদের বাড়ি নগরীর বারপাড়ায়। স্বামীর নাম জসিম উদ্দিন। সন্তান বুকের দুধ পাচ্ছিল না। তাই ডাক্তার দেখানোর জন্য তার মা টিকিট কাটতে যান। এ সময় অন্য একজন মহিলার কোলে নাতনিকে রেখে টিকিটের লাইনে দাঁড়ান নানী। টিকিট কেটে এসে দেখেন শিশুসহ ওই মহিলা নেই। সন্তান ফিরে পেতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আকুতি জানান।

হাসপাতালের নবাব ফয়জুন্নেছা ওয়ার্ডের ইনচার্জ ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘শিশুটি সুস্থই ছিলো। তারপরও শিশুটির মা বলছিল যে সন্তান বুকের দুধ পাচ্ছে না। সকালে চিকিৎসক মোহসিনা আবেদিন কলি এসেও শিশুটিকে স্বাভাবিক দেখেন।

‘পরে শিশুটির নানী কার সঙ্গে যেন কথা বলে আউটডোরে টিকিট কাটতে যান। কিছুক্ষণ পর শিশুটির নানী এসে চিৎকার করে বলতে থাকেন যে তার নাতনিকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। মা থাকার পরও আয়েশা আক্তার কেন সন্তানকে অন্য মহিলার কোলে দিয়ে টিকিট কাটতে যাবেন বুঝতে পারছি না।’

এদিকে অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে আসে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে। তারপরই বিস্তারিত জানাতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর