নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছয় তলা ভবনের পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
হোসাইনি নগর এলাকায় আসলাম সিকদারের মালিকানাধীন লক্ষ্মী নিবাসে শনিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার হোসিয়ারি কারখানার মালিক সবুজ খন্দকার, পোশাক কারখানার শ্রমিক রানা মিয়া, তার স্ত্রী বিথি আক্তার ও তাদের মেয়েশিশু।
বিস্ফোরণে আহত হন স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী আবু কালাম ও জাকির হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দগ্ধের স্বজনরা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে লক্ষ্মী নিবাসের পাঁচ তলার ফ্ল্যাট থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ওই সময় ওই ফ্ল্যাটের ভেতর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক দগ্ধ চারজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেন।
আবু কালাম নামে অন্য আরেকজনকে নেয়া হয় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)। এ ছাড়া জাকির নামের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
দগ্ধ সোহাগের মামা খলিল সিকদার বলেন, ‘চার কক্ষের ফ্ল্যাটটিতে দুটি পরিবার থাকত। হঠাৎ এমনভাবে বিস্ফোরণ হলো যেন পুরো বাড়ি কেঁপে উঠল। এরপরই দেখি ওপরের দিকে আগুন। এক রুমে রানাসহ তার পরিবার ছিল। অন্য রুমে সোহাগ।
‘এ ছাড়া ফলের দোকান থেকে বাজার দিয়ে বাড়িতে ফিরেন আবু কালাম। তিনি ছয় তলায় ওঠার সময় পাঁচ তলায় পৌঁছালে ঘটনাটি ঘটে। আমরা দগ্ধ ও আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
ভবনের মালিক আসলাম শিকদার বলেন, ‘দগ্ধ ছাড়া যারা আহত হয়েছেন, তারা ভবন থেকে নামার সময় কাচের আঘাতে আহত হয়েছেন, তবে কীভাবে ঘটনা ঘটল তা জানা নেই।’
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণে পাঁচ তলা ফ্ল্যাটের দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে পাশের একটি আধাপাকা ঘরের চালাসহ আসবাবপত্র ভেঙে যায়। পাশাপাশি ওই ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালাসহ ঘরের আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। তদন্তের পর ঘটনার কারণসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। বিস্ফোরণে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।