তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ বিলুপ্তি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিএনপির কোনো দাবি মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে; মন চাইলে নির্বাচনে আসবেন, না হয় যা মন চায় তা করেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতাকর্মী-সমর্থকদের একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের মুখ দেখছে বাংলাদেশ। বিএনপি এর সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে। দেশের উন্নয়নে তারা প্রশংসা করতে পারে না। আওয়ামী লীগের উন্নয়নে বিএনপির অন্তর্জ্বালা। পরাজয়ের ভয়ে বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে।
‘সব ক্ষমতার মালিক যেখানে আল্লাহ সেখানে বিএনপি কীভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবে?’
চলতি বছরে ২২টি দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও শুধু বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে কিছু দেশ, অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করতে পারে না। শুধু বাংলাদেশে পান থেকে চুন খসলেই আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে, ভিসা নীতি দেবে- এমন হুমকি-ধমকি দেয়। আর বিএনপি লাফালাফি করে এটার (নিষেধাজ্ঞা) সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে।’
ওইসব দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিএনপির সঙ্গে সহাবস্থানের আর সুযোগ নেই উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীর সংখ্যা কমে গেছে। তাদের মিছিল-সমাবেশের দৈর্ঘ্য বেড়েছে, প্রস্থ কমেছে।’
ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিপক্ষ ভাবে আর তারা আওয়ামী লীগকে শত্রু ভাবে। তারা এটার যাত্রা শুরু করেছিল ২১ আগস্ট। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টসহ সব হত্যাকাণ্ড এবং ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড জিয়া পরিবারের সদস্যরা।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে দেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।’
যেকোনো সংকট কিংবা সমস্যায় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার জন্য সারাদেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী ৬ বার হয় কী করে? ‘১৫ আগস্ট কীভাবে তার জন্মদিন হয়?’