বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাত করে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৫৪

১৪-দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, অসাংবিধানিক ধারায় যারা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, ১৪ দল তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।

‘বিএনপি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়’ অভিযোগ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, অসাংবিধানিক ধারায় যারা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, ১৪ দল তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।

রাজধানীর উত্তরার আজমপুরের আমীর কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর ১৪ দল আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বিএনপি আজকে নির্বাচনকে ভয় পায়, গণতন্ত্রকে ভয় পায়, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চেষ্টা করছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনীতিতে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের সূচনা করেছে। তারা (বিএনপি) গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাত করে ক্ষমতায় আসতে চায়। আজকের নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের উন্নয়নে বিএনপির গাত্রদাহ হয়। তারা শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আমু বলেন, কারও দয়ায় শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসেননি। এ দেশে মানুষের ভোটে বারবার ক্ষমতায় এসেছেন। জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়ে তিনি সরকার গঠন করেছেন।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালে তারা আন্দোলন শুরু করেছিল। প্রতিদিন নিরীহ মানুষ মারা যেত। ২০১৩-১৪ সালে নির্বাচনে মানুষ যখন তোমাদের প্রত্যাখ্যান করল, তোমরা অগ্নিসন্ত্রাসের আশ্রয় নিলে। তোমরা রাতের অন্ধকারে অতর্কিতভাবে মানুষ হত্যা শুরু করলে, বোমা মেরে অগ্নিসন্ত্রাস করে শত শত মানুষকে আহত করলে, হত্যা করলে, তোমরা হাজার হাজার গাছ কেটে মানুষের পথ চলার পথ বন্ধ করার চেষ্টা করলে, ব্যর্থ হয়েছ, পারো নাই। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হয়েছে।’

আগামীতে এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন, জাতীয় চার মূলনীতি আবার সংবিধানে পুনর্বাসন করেছেন। আজকে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজকে এগুলো তারা (বিএনপি) সহ্য করতে পারে না। এখানেই তাদের আঁতে ঘা লেগেছে।’

জোটের মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা যখন পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সব সূচকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে সারা বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে, তখন তাদের গাত্রদাহ হয়। পাকিস্তানের আত্মাদের গাত্রদাহ হয়। গাত্রদাহের কারণেই শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে চায়। শেখ হাসিনাকে তাদের সহ্য হয় না।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি না নিয়ে ২০১৩-১৪ সালের মতো নৈরাজ্য ও আগুন-সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। সংবিধান অমান্য করে নির্বাচন করতে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার দাবি করছে তারা। নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে, করছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন চিঠি দিচ্ছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে নাকি মানবাধিকার নেই। অথচ বাইডেনকে কেউ হত্যার হুমকি দিলে তাকে গুলি করে হত্যা করছেন, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। বাংলাদেশে জঙ্গি দমন করলেও নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়।’

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আবারও অনির্বাচিত সরকার এনে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপিকে বলতে চাই, আগুন নিয়ে খেলবেন না। বিশৃঙ্খলা করলে জনগণকে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। নির্বাচন যথা সময়ে হবে, কে এল, কে এল না- সেটা দেখার বিষয় না। নির্বাচন হবেই।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর