বাগেরহাটের শরণখোলায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন- ৩৫ বছর বয়সী পাপিয়া বেগম ও তার ৫ বছর বয়সী কন্যা সাওদা জেমি।
দুর্বৃত্তরা সাড়ে ৭টার দিকে ঘরে ঢুকে পাপিয়া ও তার শিশু কন্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পাপিয়াকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ রাত ৯টার দিকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে কী কারণে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় গ্রামপুলিশ স্বপন কুমার বালী জানান, খবর পেয়ে পাপিয়া বেগমকে তার ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পড়ে থাকা তার শিশু কন্যা সাওদা জেমীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে জানানো হয়।
তিনি আরও জানান, পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলে জিহাদ (১৫) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। মেয়েকে নিয়ে পাপিয়া বাড়িতে একাই থাকতেন। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা বোঝা যাচ্ছে না।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ১ নম্বর উত্তর রাজাপুর গ্রামে মা ও মেয়েকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পারিবারিক কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।’
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশফাক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই পাপিয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম পাওয়া গেছে।
শরণখোলা থানার ওসি ইকরাম হোসেন বলেন, ‘মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে কারা এই জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। দ্রুতই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’