শুক্রবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার চরতি ও লারফলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ৪ বছর বয়সী শিশুটির নাম সানজিদা। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের বন্যায় শিশুসহ আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে চলতি বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮জন।
শুক্রবার চট্রগামের সাতকানিয়ার চরতি ও লারফলা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে সানজিদা নামে ৪ বছরের একটি শিশু রয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সাতকানিয়া থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, ‘পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ তাদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে।'
এর আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ মজুমদার।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সোমবার রাত থেকে পানির নিচে চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চল। পরদিন বিকেল পর্যন্ত পানি বেড়ে তলিয়ে যায় চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপজেলা।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাতকানিয়া উপজেলা। এই উপজেলার সবটাই পানির নিচে ছিল অন্তত ৩০ ঘণ্টা। সোমবার রাত থেকে বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে। সাতকানিয়া-বান্দরবান সড়কও তলিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল নেটওয়ার্কও। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা অচল হয়ে পড়ে পুরো অঞ্চলে।
নিরাপদ আশ্রয়স্থলে ছুটতে থাকে বন্যাদুর্গতরা। এতে অনেকেই ডুবে যায় পানির স্রোতে। মঙ্গলবার থেকে ডুবে যাওয়াদের মরদেহ ভেসে উঠতে থাকে।
চট্টগ্রামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
এ বিভাগের আরো খবর/p>