ভৌগোলিক অবস্থান ও উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ বিদেশিদের কাছে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘তাদের নজরে রয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক খেলার মধ্যে পড়ে গেছি আমরা।’
শুক্রবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা পরিষদ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি দল ও তাদের প্রবাসী সহযোগীরা বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ধনী দেশগুলো যেমন চীনের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না, তেমনই তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তার গতি ঠিক রাখতে বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার। সরকারে আওয়ামী লীগ আছে বলেই দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘সিলেট সদর উপজেলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যে তিন শতাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
কিছু প্রকল্পে কাজের ধীরগতিতে মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে কাজ শেষ করুন। ১২ কিলোমিটার বাদাঘাট-বাইপাস সড়ক নির্মাণে ১৩ বছর কেন লাগবে?’
অসমাপ্ত প্রকল্পগুলো আগামী নির্বাচনের আগেই শেষ করতে তিনি প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম কেবল অভাবের কারণেই বাড়ে না। বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেও বাড়ে। তাই কোনো জমি যাতে পতিত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটা মরিচের গাছ লাগালে পরিবারের মরিচের চাহিদা মেটানো যায়। এসব ব্যাপারে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব সুন্দর একটা নির্বাচন হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ সিংহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এলজিইডি বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।