রাজশাহী মহানগরীতে একটি আইসিটি সেন্টারের মালিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অপহরণের শিকার ব্যবসায়ীকে।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর দামকুড়া থানার জোতরাবোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে আরএমপি’র দামকুড়া থানা পুলিশ। তারা হলেন- আকাশ আলী শিমুল, শফিকুল ইসলাম বাপ্পি ও নূর ইসলাম।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানার দামকুড়া হাট গোন্দিপুরের সৈয়দ মনিরুল ইসলাম একটি আইসিটি সেন্টারের মালিক। ওই আইসিটি সেন্টারের অংশীদার হওয়াকে কেন্দ্র করে মনিরুলের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের বিরোধ চলছিল। ১০ আগস্ট দুপুর দেড়টায় আসামি আকাশ, শফিকুল ও নূর ইসলাম বোয়ালিয়া থানার অলকার মোড়ে মনিরুলের আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারে এসে তাকে চাকুর ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে মাদক অথবা নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
মনিরুল চাঁদা দিতে না চাইলে আসামিরা তাকে অপহরণ করে কাশিয়াডাঙ্গা থানার বালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে আটক করে রাখে। সেখানে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয় এবং ফাঁকা স্ট্যাম্পে মনিরুল ইসলামের স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরপর আসামিরা মনিরুলের মোবাইল থেকে তার ভাই মেহেদী হাসানের কাছে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা নিয়ে দামকুড়া থানার জোতরাবোন এলাকায় আসতে বলে।
মেহেদী হাসান বিষয়টি দামকুড়া থানা পুলিশকে জানালে আরএমপি’র উপ-কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) বিভূতি ভূষণ বানার্জীর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) ড. মো. রুহুল আমিন সরকারে নেতৃত্বে দামকুড়া থানার ওসি মশিউর রহমান, এসআই ওয়ারেছ আলী ও তার টিম মনিরুল ইসলামকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে।
পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী মেহেদী হাসান ঘটনার দিন রাত পৌনে ৮টায় দামকুড়া থানার জোতরাবোন এলাকায় মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসামিদের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি আকাশ, শফিকুল ও নুর ইসলামকে আটক করে এবং ভিকটিম মনিরুলকে উদ্ধার করে।
অপহরণের ঘটনায় দামকুড়া থানায় মামলা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।