বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১০ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৫০

শিক্ষার্থীদের দাবি দু’টি হলো- বিতর্কিত সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরিফ এনামুল কবিরকে ইমেরিটাস অধ্যাপক না বানানো এবং নারী নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে দায়মুক্তির অপচেষ্টা না করে তার বিচার করা।

দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগকারী সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে ইমেরিটাস অধ্যাপক বানানোর প্রচেষ্টা এবং ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে দায়মুক্তির অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবি দু’টি হলো- বিতর্কিত সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরিফ এনামুল কবিরকে ইমেরিটাস অধ্যাপক না বানানো এবং নারী নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে দায়মুক্তির অপচেষ্টা না করে তার বিচার করা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, ‘শরীফ এনামুল কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে মোটেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবান্ধব ছিলেন না। নিজের কাছের মানুষদের পছন্দমতো পদে বসাতেন। এমনকি সেসময় ঘটা জুবায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন অধ্যাপক শরীফ। তবে বর্তমান প্রশাসন শরীফ এনামুল কবিরকে ইমেরিটাস অধ্যাপক পদে বসানোর নজির তৈরি করতে যাচ্ছে, প্রশাসনের এমন কর্মকাণ্ডে ধিক্কার জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের যে অভিযোগ, সেই অভিযোগ থেকে জনিকে দায়মুক্তি দেয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, নিপীড়ক শিক্ষকের বিচার করুন, ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করবেন না।’

জানা যায়, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ২০০৯ সাল থেকে প্রায় তিন বছরের বেশি সময় উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ে তিনি শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, ছাত্রলীগের একটি অঞ্চলভিত্তিক অংশকে মদদ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাঁধা দেয়াসহ নানা অভিযোগ ওঠে। তার মদদপুষ্ট হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় সংগঠনটির অন্য অংশের কর্মী ও ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ নিহত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে ওঠে। এরপর ২০১২ সালের ১৭ মে উপাচার্যের পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

অন্যদিকে, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ ওঠে।

এ বিভাগের আরো খবর