পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ছাগল চুরির মামলায় বাবুল মুন্সি নামের ৪৫ বছর বয়সী এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
অভিযুক্ত বাবুল মুন্সি মির্জাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মো. আবদুল খালেক মিয়ার ছেলে এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন।
লিটন জানান, লোক মুখে ঘটনা শুনেছি। তবে সত্য মিথ্যা যাচাই করতে হবে। এটি ষড়যন্ত্রও হতে পারে।
বুধবার মির্জাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস বাবুল মুন্সিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মো. শাহিন মিয়া।
সূত্র জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি মির্জাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী বরগুনা জেলার আমতলী থানার কেওরা বুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ইউসুফ হাওলাদার বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় বাবুল মুন্সিসহ আরও ১০ জনকে আসামি করে ছাগল চুরির অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গতকাল (বুধবার) বাবুল মুন্সি আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ইজিবাইক নিয়ে ঘোরার ছলে বিভিন্ন স্থান থেকে গরু, ছাগল ও গাড়ির ব্যাটারি চুরি করত স্থানীয় একটি চোর চক্র। সেই চোর চক্রের চারজন সদস্য চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মির্জাগঞ্জ উপজেলার রানীপুর বাজারে ইজিবাইক এবং ছাগলসহ পুলিশের হাতে আটক হন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল মুন্সির নাম উঠে আসে।
আটককৃতরা জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবুল মুন্সির কাছে ওই ছাগল ও ইজিবাইক নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বাবুল মুন্সি কম দামে সেই ছাগল ক্রয় করে তা আবার বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন।
এ ঘটনায় তদন্তের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাগঞ্জ থানার এসআই কামরুল ইসলাম ওই চোর চক্রের মাস্টারমাইন্ড ও আশ্রয়দাতা হিসেবে বাবুল মুন্সিকে অভিযুক্ত করে গত ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পরবর্তীতে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বাবুল মুন্সির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।