বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেমিকাকে নিয়ে ঘোরাঘুরির পর যৌনপল্লিতে বিক্রি

  • প্রতিনিধি, শেরপুর   
  • ১০ আগস্ট, ২০২৩ ২২:২৮

বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটিকে আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ সময় বের হয়ে আসে রোমহর্ষক কাহিনী।

প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে অবশেষে যৌনপল্লিতে ঠাঁই হলো যুবতীর। অবশেষে প্রায় দুই মাস পর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার গভীর রাতে জামালপুরের দয়াময়ী মোড়ের যৌনপল্লি থেকে তাকে উদ্ধার করে শেরপুরের শ্রীবরদী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটিকে আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ সময় বের হয়ে আসে রোমহর্ষক কাহিনী।

মামলা ও যুবতীর স্বীকারোক্তি থেকে জানা গেছে, দুই বছর আগে মেয়েটির ঝিনাইগাতি উপজেলায় বিয়ে হয়। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় বাবা-মায়ের কাছে চলে আসেন তিনি। তার বাবা-মা গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। স্বামীর বাড়ি থেকে আসার পর ওই যুবতী বাবা-মায়ের সঙ্গেই গাজীপুরে থাকাতেন। এর মধ্যে মোবাইলে লোকমান নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। কিছুদিনের মধ্যেই পরিচয় পরিণয়ে রূপ নেয়।

দুই মাস আগে যুবতীর বাবা-মা তাকে শ্রীবরদীর দাদার বাড়িতে রেখে যান। পরে গত ২০ জুন প্রেমিক লোকমান মিয়া তাকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়ি থেকে বের করে নানা জায়গায় ঘোরাঘুরির পর রাতে জামালপুরের দয়াময়ী রোডের যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়।

যুবতীর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি। পরে এ ঘটনায় যুবতীর অভিভাবক গত ৯ আগস্ট শ্রীবরদী থানায় মামলা করে। এ নিয়ে শ্রীবরদী পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং প্রযুক্তির সাহায্যে যুবতীর অবস্থান ঠিক করে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করে।

প্রেমিক লোকমান মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, মেয়েটির পরিবার থেকে অভিযোগ পেয়েই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। প্রেমিক লোকমানকে ধরতে পুলিশের দুইটি টিম বিশেষভাবে কাজ করছে।

এ বিভাগের আরো খবর