দেশে গ্যাসের ঘাটতি পূরণে আগামী বছরের মধ্যে নতুন আরও ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
হবিগঞ্জের রশীদপুর গ্যাস ক্ষেত্রে বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিফলক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্যাসের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম এবং ঘাটতি যে অবস্থায় আছে, তা সমাধানে আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দেশীয় উৎস থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ গ্যাস যাতে পাওয়া যায়, সে জন্য আমাদের তিনটি কোম্পানিকে কাজে লাগিয়ে সেই পরিকল্পনা তৈরি করেছি।
‘আগামী বছরের মধ্যে ৪৬টি নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। এ ছাড়া আরও ১০০টি লিডকে টার্গেট করে এগোচ্ছি, যাতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা কয়েক শত কূপ খনন করে ফেলতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের শতভাগ বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্য গ্যাসের যে চাহিদা, সেটির জন্য আমাদের কিছু এলএনজি (তরল গ্যাস) আমদানি করতে হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে সঠিক মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ এলএনজি যাতে আনা যায়, তা নিয়েও আমরা কাজ করছি। এ ব্যাপারে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা দীর্ঘমেয়াদি যে চুক্তির পরিকল্পনা নিয়েছি, সেটি দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করছি।’
পেট্রোবাংলার শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস আনার জন্য পিএসসি ডকুমেন্ট ২০২৩ অনুমোদন করেছে সরকার। আমরা দ্রুত সরকারের পরামর্শ ও পরিকল্পনায় এটি বাস্তবায়নের কাজে চলে যাব।’