দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিখোঁজ হওয়া ৫৫ জনের মধ্যে চার যুবক র্যাব-১১ কার্যালয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।
র্যাব জানায়, ওই চারজন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এসে আত্মসমর্পণ করেন।তারাসহ নিখোঁজ হওয়া ৪৮ জনকে এখন পর্যন্ত পাওয়া গেলেও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন নারায়ণগঞ্জের আবু বক্কর ওরফে রিয়াসাদ রাইয়ান, সিলেটের হাসান সাইদ, শেখ আহমেদ মামুন ও ইয়াছিন।
র্যাব জানায়, ওই চারজন আরও দুইবার প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ওপর নেমে আসে অমানবিক অত্যাচার।এসব নির্যাতনের পরও চলতি বছরের মার্চে তারা তৃতীয়বারের মতো পালানোর চেষ্টা করে সক্ষম হন। প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন তারা। ওই সময় এই চারজনের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল বলে জানা যায়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্চের শেষ দিকে চারজন ক্যাম্প ছেড়ে সমতলে ফিরলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছিল না। কারণ তাদের সঙ্গে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আরও কয়েকজন সদস্য ছিল। বাকি সদস্যরা একটি অভিযানে গ্রেপ্তারের পর তারা সমাজে ফেরার সাহস পান। এর মধ্যে পরিবারের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে। পরিবারের সদস্যরাও তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আসতে বলেন।’
র্যাবের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, আত্মসমর্পণ করা চারজনসহ অন্যরা গত বছরের শুরুতেই পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যায়।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘তাদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছে। বিচারক নিশ্চয়ই বিষয়গুলো সুদৃষ্টিতে দেখবেন।’
তিনি বলেন, বান্দরবানের গহীন অরণ্যে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ছিল নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার। চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’-এর তত্ত্বাবধানে এখানে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো সংগঠনের সদস্যদের।প্রশিক্ষণের আমানুষিক নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করতে না পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করেন অনেক সদস্য।