বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একজন মানুষও যেন অবহেলিত না থাকে: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ আগস্ট, ২০২৩ ১৩:০৩

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশের একটি মানুষও যেন অবহেলিত না থাকে। আমরা তার সেই আকাঙ্ক্ষাই পূরণ করার চেষ্টা করছি। এ দেশের মানুষগুলোকে আমার বাবা সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছিলেন।’

বাংলাদেশের একজন মানুষও যাতে অযত্ন, অবহেলায় না থাকে, সরকার সে চেষ্টাই করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশের একটি মানুষও যেন অবহেলিত না থাকে। আমরা তার সেই আকাঙ্ক্ষাই পূরণ করার চেষ্টা করছি। এ দেশের মানুষগুলোকে আমার বাবা সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছিলেন।’

ঘর পাওয়া লোকজনের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক সহযোগিতাটা করে দিলাম। বাকি জীবন-জীবিকা গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা চাই, এখান থেকে আপনারা নিজেদের অবস্থার উন্নতি করে উন্নত জীবনের অধিকারী হবেন।’

বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন নয়। তারপরও জন্মদিন হিসেবে কেক কেটে আনন্দ-উল্লাস করত।

‘যেদিন আমাদের চোখের পানি পড়ে, মিথ্যা জন্মদিন বানিয়ে সেদিন তিনি উৎসব করতেন। শুধু আমাদেরকে আঘাত দেয়ার জন্য এটা করত।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। দেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশের আরেক মীরজাফর খুনি মোশতাককে দিয়েই জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।

‘খুনিদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি এরশাদও জিয়ার পথ ধরে ক্ষমতা দখল করেছিল। পঁচাত্তরে জাতির পিতা হত্যা করার পর বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। প্রতি রাতে কারফিউ থাকত; মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। কোনো কিছু বললেই ধরে নিয়ে গুম করা হতো; লাশও গুম করত।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সমমনা দল নিয়ে আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন করেছি। মানুষ আজ ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে।’

আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক অধিকারকে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত দেশে একটা স্থিতিশীল অবস্থা রয়েছে। শত বাধা অতিক্রম করে একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, সবগুলো মোকাবিলা করে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দারিদ্র্যের হার অর্ধেকের বেশি নামিয়ে এনেছি।

‘হতদরিদ্র ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ এই দেশে আর হতদরিদ্র থাকবে না।’

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের একটা বিরোধী দল আছে। মানুষ খুন করা, অগ্নিসন্ত্রাস করা, বাসে আগুন দেয়া, রেলে আগুন দেয়া, পুলিশকে মারা, মানুষকে হত্যা করা, এ ধরনের কাজই তারা করে যায়।’

ঘর পাওয়া লোকজনের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা ঘর পেয়েছেন তারা ঘরের আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। ঘরগুলোকে যত্ন করতে হবে।

‘এখন ডেঙ্গু দেখা গেছে, কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। মশার প্রজনন কেন্দ্র যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে আপনারা সাশ্রয়ী হবেন।’

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আজ ভূমিহীন ও গৃহহীন আরও ২২ হাজার ১০১টি পরিবারের মধ্যে ভূমিসহ আধাপাকা ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আরও ১২টি জেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হলো।

এ বিভাগের আরো খবর