বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৃত ঘোষণার পর নড়ে ওঠা শিশুর মৃত্যু

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ৯ আগস্ট, ২০২৩ ১২:১৮

মমেক হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে প্রাণ হারায় শিশুটি।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মৃত ঘোষণার পর নড়ে ওঠা শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে প্রাণ হারায় শিশুটি।

নিওন্যাটোলজি বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি সাত মাসে জন্ম নেয়ায় তার হার্ট ও অন্যান্য অঙ্গ প্রিম্যাচিউরড ছিল। তার শারীরিক অবস্থা জটিল থাকায় কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হচ্ছিল।’

মমেক হাসপাতালে মঙ্গলবার তিন দিন বয়সী মেয়েশিশুটিকে মৃত বলে জানানো হয়। এর চার ঘণ্টা পর জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

শিশুটির অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের বাড়মা গ্রামের মাদ্রাসাশিক্ষক সাইফুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা খাতুন রোববার মমেক হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করেন। সাত মাসে জন্ম নেয়া শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শিশুকে মৃত জানিয়ে মৃত্যুসনদ দেয়া হয়।

সনদে উল্লেখ করা হয়, অত্যন্ত কম ওজন (৯০০ গ্রাম) ও নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পথে সদরের চুরখাই এলাকা পর্যন্ত এলে শিশুটি নড়ে ওঠে ও নিশ্বাস নিতে থাকে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে আবারও মমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে নবজাতককে ভর্তি করেন চিকিৎসক।

মৃত্যুসনদের বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি নিওন্যাটোলজি বিভাগে কয়েকজন শিক্ষানবিশ ও ইন্টার্ন চিকিৎসক এসেছেন। রোস্টার অনুযায়ী ওই দিন কয়েকজন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ সহকারী রেজিস্ট্রারের সিলের ওপর সই করে সনদ দিয়েছেন বলে আমার ধারণা।’

শিশুটিকে মৃত ঘোষণার বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও দন্ত বিভাগের চিকিৎসকের সমন্বয়ে বুধবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর