বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দিয়ে রায় ঘোষণার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রবেশমুখে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিতে কয়েকশ’ আইনজীবী অংশ নেন। এ সময় তারা এই রায়ের প্রতিবাদে এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফোরামের (ইউএলএফ) যুগ্ম আহ্বায়ক সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট বার ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ইউএলএফের আহ্বায়ক শাহ আহমেদ বাদল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউএলএফের সমন্বয়ক মামুন মাহবুব প্রমুখ।
বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, সরকার তাড়াহুড়ো করে ফরমায়েশি রায়ে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছে।
বিচারকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা শপথ নিয়েছেন আপনারা কোনো দলের না। কাজেই আপনাদের কাছ থেকে আমরা নিরপেক্ষ বিচার আশা করি।’
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘অনেক অবিচার হয়েছে, আর নয়। অতীতে আইনজীবীরা যেভাবে অবস্থান নিয়েছেন সেভাবেই আজও আইনজীবীরা অবস্থান নেবেন।
‘জিয়া পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এবং জনগণের কাছে তাদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ মনগড়া, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ এনে আদালতকে ব্যবহার করে এই সাজা দেয়া হয়েছে।’
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলন করে সাজার রায়কে ফরমায়েশি উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন তারা। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে কালো পতাকা মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির আইনজীবীরা।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ২ আগস্ট রায় ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান।