চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, মহাসড়কে চলছে না যানবাহন, বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন অপারেটরের মোবাইল নেটওয়ার্কও। এর মধ্যে পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে জেলার তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
এমনই অবস্থা দেখা গেছে চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলাগুলোতেও।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা। হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতিতে হিমশিম খাচ্ছে সবাই। পানির স্রোত থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না ইঞ্জিনবিহীন নৌকা।
বর্তমানে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন এলাকার বহুতল স্কুলভবন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার তুলনামূলক উঁচু এলাকা উপজেলা পরিষদ ও কেরানিহাটে কোমর পানি হওয়ায় পুরো সাতকানিয়া পানিতে ডুবে গেছে বলে ধারণা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস।
গতকাল রাত পর্যন্ত দেড় হাজার পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতির কারণে জানতে পারেননি ইউএনও৷
তিনি বলেন, ‘আজ যেহেতু যোগাযোগ করা যাচ্ছে না সর্বশেষ পরিসংখ্যান আমরা জানি না। তবে স্কুলগুলোতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, উপজেলা পরিষদেও অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন।’
সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নানা কারণে উপজেলার বাইরে বসবাসকারীরা বাড়িতে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উৎকণ্ঠায় ভুগছেন।
সাতকানিয়ার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দুই উপজেলা চন্দনাইশ ও লোহাগাড়াও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে ছোট ও মাঝারি যান চলতে পারছে না। পাঠানিপুল এলাকায় পানি বেশি। কিছু গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। একটা একটা গাড়ি পার হচ্ছে। এলাকার নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।’