রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে রিভিউ (পুনর্বিবেচনার) আবেদন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। নিবন্ধন দৌড় থেকে ছিটকে পড়ে গত মাসে একটি প্রতিবাদলিপি জমা দেয় দলটি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বরাবর এ আবেদন জমা দেয় এবি পার্টি।
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবি পার্টির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার বাস্তব অস্তিত্ব নেই। আমাদের সকল পর্যায়ে কমিটি আছে। সব শর্ত পূরণ করেছি। তবে এসব যাচাই করতে যেয়ে ইসি কর্মকর্তারা আমাদের অফিস ভাড়ার কাগজের পরিবর্তে বাড়ির মালিকানার কাগজ দেখেছে। কাজেই অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের কারণে এমন হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশন ভিত্তিহীন দুটো দলকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান এবি পার্টির নেতা।
তিনি বলেন, ‘অথচ এবি পার্টি সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। নিবন্ধন না দিয়ে অন্যায় করেছে ইসি। তাই পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছি।’
ইসির নিবন্ধন পেতে ৯৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করলেও তিন দফার যাচাই-বাছাই শেষে গত ১১ এপ্রিল প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। সে তালিকায় এবি পার্টিও ছিল। সম্প্রতি ১ ডজন দল থেকে মাত্র ২টি দলের নাম প্রকাশ করে কমিশন। পরে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে কারো দাবি আপত্তি জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা। প্রাথমিকভাবে বিএসপি বিএনএমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পড়ে কমিশনের। সবশেষ গত সোমবার এ সংক্রান্ত শুনানির আয়োজন করে কমিশন। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪২টি।
পুনর্বিবেচনার আবেদন আমলে না নিলে কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য আমরা অপেক্ষা করব। তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে আমরা আদালতে যাবো কি না।’