বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিষেধাজ্ঞাকে দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র: নেফিউ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০৬

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে তার দেশ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞাকে দুর্নীতি দমনের টুল (হাতিয়ার) হিসেবে দেখে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সোমবার আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নেফিউর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি (স্যাংশন) যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়।’

রিচার্ড নেফিউ রোববার ঢাকায় আসার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। সোমবার তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং পরে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘নেফিউ বলেছেন যে, বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে।’

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা তাকে সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছি এবং যেসব দেশে অবৈধভাবে অর্থ গেছে তাদের সহায়তা পাওয়ার কথা বলেছি।’

রিচার্ড নেফিউ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি এবং বৈদেশিক সহায়তায় দুর্নীতি মোকাবিলায নিয়ে কাজ করে থাকেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ৫ জুলাই রিচার্ড নেফিউ স্টেট ডিপার্টমেন্টের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিষয়ক সমন্বয়ক হিসেবে নিযুক্ত করেন।

রিচার্ড নেফিউ সরাসরি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগদানের আগে তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল এনার্জি পলিসিতে সিনিয়র ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলাপকালে দেশের বাইরে এস আলম গ্রুপের টাকা নেয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করতে পারে সে সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা এ ধরনের কোনো নির্দেশনা পাইনি। যদি দুর্নীতি দমন কমিশন আমাদের অনুরোধ করে, তাহলে আইনের মধ্যে থেকে যেটা করার তা আমরা করবো।’

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মতো দেশগুলোতে মানি লন্ডারিং হয়ে থাকে। সেই টাকাগুলো ফেরত আনতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ফেরত আনা তো পরের বিষয়। এগুলো কোন রুটে যাচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করা দরকার। সবই যে অস্বচ্ছ টাকা তা তো না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সময় দেখেছি, কানাডায় পাচারের কথা বলেন। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে অনেক বাংলাদেশি আছেন, যারা অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে কানাডায় গেছেন। সুতরাং সেটাও কিন্তু এখানে আছে। অনেকে ব্যবসা করেন এক্সপোর্টের, সেটির আয়ের একটি অংশ ওখানে থাকে, সেটাও কতটা অবৈধ তা আমি জানি না।’

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেকে বাবা-মা, দাদার জমি বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করে নিয়ে গেছেন। সেটার সোর্স অবৈধভাবে অর্জিত বলা ঠিক হবে না। তবে সেটি আইনসঙ্গতভাবে নেয়া হয়েছে কি না সেই ইস্যুগুলো যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।’

এ বিভাগের আরো খবর