স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু করার জন্য সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেণুর জীবন ও কর্মভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রেণু’-এর লোগো ও ওয়েবসাইট উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আয়োজক সূত্র জানায়, হাসুমণির পাঠশালা নিবেদিত ও মারুফা আক্তার পপির পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে এ চলচ্চিত্র।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আমাদের বঙ্গবন্ধুকে ‘বঙ্গবন্ধু’ করার জন্যে যিনি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন, তিনি বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু ৩ হাজার ৫৩ দিন কারাগারে ছিলেন। এটা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলে বঙ্গবন্ধুর থাকার সময়। এ ছাড়াও যদি আর কোনো তথ্য থাকে, সে তথ্যগুলো যুক্ত করব আমরা। সব মিলিয়ে পুলিশের কাছে থাকা তথ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গ্রন্থ প্রকাশ করব।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখনই কারাগারে যেতেন, তখন বঙ্গমাতা একটা নোটবই, খাতা-কলম উনাকে দিতেন। এজন্যই আমরা পেয়েছি অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচাসহ বিভিন্ন বই।’
নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকা অবস্থায় বঙ্গমাতা আমাদের বললেন- তোমরা আন্দোলন আরও তীব্র কর। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে দ্রুত মুক্তি দিবে। তার দূরদর্শী চিন্তা এমনই ছিল। আমাদের ছাত্রনেতারা মাঝেমধ্যেই বঙ্গমাতার কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে যেতাম।
‘বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চের ভাষণ শুরু করলেন, অনেকে স্লিপ দিয়েছিল। তিনি সেগুলো চশমার নিচে রাখলেন। তারপর তিনি ভাষণ শুরু করলেন নিজের মতো করে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন সারাবিশ্বের সম্পদ। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে এটাই বলেছিলেন, ভাষণটি নিজের হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করলে যেটা আসে সেটা দিতে।’