বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার: স্ত্রীসহ কারাগারে ৩

  • প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ   
  • ৭ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:১৮

হোসেনপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, ‘সোমবার দুপুরে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় নিহতের স্ত্রী ও তার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ২৯ বছর বয়সী চিকিৎসক আরিফুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রোববার গভীর রাতে হোসেনপুর পৌর শহরের ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহতের স্ত্রী চিকিৎসক শাহীন সুলতানা মীরা এবং মীরার দুই ভাই মো. নাসির উদ্দিন ও মো. এরশাদ। তারা পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার সন্ধ্যায় হোসেনপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার রাত সোয়া বারোটার দিকে চিকিৎসক আরিফুল ইসলামের বড়ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

তিনি বলেন, ‘সোমবার দুপুরে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় নিহতের স্ত্রী ও তার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

মামলার বাদী নিহত আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, “আমার ভাই ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর ডা. শাহিন সুলতানা মীরাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা রাঙামাটিতে কিছুদিন চাকরি করেন। পরে সেখান থেকে ফিরে বছরখানেক আগে দুইজন মিলে হোসেনপুর পৌর শহরের ঢেকিয়া এলাকায় ‘মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি ক্লিনিক চালু করেন। তারা ক্লিনিকের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।”

তিনি আরও বলেন, ‘ক্লিনিক চালুর সময় থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় এবং স্বামীর বাড়ির লোকজনকে সহ্য করতে পারতেন না ডা. মীরা। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ হতো। শনিবার রাত পৌনে ২টার দিকে থানা থেকে ফোনে জানানো হয়, আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে। আমার ভাইকে আমি চিনি, সে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মীরা ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলে আমি মনে করি।’

গ্রেপ্তারের আগে অভিযুক্তের স্ত্রী শাহীন সুলতানা মীরা নিউজবাংলাকে বলেন, “আমার স্বামী আমাকে ‘তুই-তোকারি’ করে কোর্টে নিয়ে গিয়েছিল সেপারেশনের (বিচ্ছেদ) জন্য। একপর্যায়ে আমাকে জোরে একটি থাপ্পড়ও দেয় আরিফ। থাপ্পড়ের চোটে আমার চশমাটি ভেঙে পড়ে যায়। কোর্ট বন্ধ থাকায় আমাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।’

মীরা আরও বলেন, “আমার চোখে সমস্যার জন্য রাতে ঘরে শুয়ে ছিলাম আমি। আরিফ বাসায় আসলে ঘরের দরজা খুলে দেই। ঘরের লাইট বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সে নামাজ আদায় করে। পরে লাইট অন করতেই রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয় সে। অনেক ডাকাডাকি করলেও আরিফ আর দরজা খোলেনি। পরে বাসার মালিককে খবর দিলে তিনি এসে আরিফকে দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু আরিফ দরজা খোলেনি। পরে পুলিশকে জানালে তারা এসে দরজা ভেঙে দেখে আরিফ ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। পরে ঘরে একটা চিরকুট পাওয়া যায়। সেই চিরকুটে লিখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না।’”

এ বিভাগের আরো খবর