অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি তৈরি ও প্রতারণার অপরাধে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় একটি প্রতিষ্ঠানকে ৭ দিনের জন্য বন্ধ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার চারতলা মোড়ের মেসার্স অধিকারী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে এ অভিযান চালানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, ‘দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার চারতলা মোড়ে মেসার্স অধিকারী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে অভিযান চালানো হয়। এসময় অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে দই, মিষ্টি ও খাবার তৈরি করতে দেখা যায়। আগের দিনের বাসি রস ও মিষ্টিতে প্রচুর মাছি বসা দেখা গেছে। কারখানার মধ্যেই নোংরা টয়লেট দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কর্মচারীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই সে কারখানায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাটির পাতিলে বিক্রি করা দইয়ে পাতিল প্রতি ভোক্তাদের ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত ঠকানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফ্রিজের দই ও রসমালাইয়ে মানা হচ্ছে না মোড়কের বিধি। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটির মালিক শ্রী হারান অধিকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটি ৭ দিনের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এসময় পোকামাকড়-মিশ্রিত বাসি রস ও মিষ্টি ফেলে নষ্ট করা হয় বলেও জানান তিনি।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ভোক্তা অধিদপ্তরের এ অভিযানে সহযোগিতা করে।