বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোরআন অবমাননার অভিযোগে সিলেটে দুই শিক্ষক আটক

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৩:৪৭

স্থানীয়রা জানায়, আখালিয়ার ধানুহাটার পাড় এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাত ১১টার দিকে হঠাৎ উত্তাল হয়ে ওঠে আখালিয়া। উত্তেজিত জনতা কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত গিয়ে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে আটকে রাখে।

সিলেটের আখালিয়ায় কোরআন অবমাননার অভিযোগে সোমবার ভোরে দুই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

কোরআন আবমাননার অভিযোগে আখালিয়ায় রোববার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। ওই সময় কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে।

স্থানীয়রা জানায়, আখালিয়ার ধানুহাটার পাড় এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাত ১১টার দিকে হঠাৎ উত্তাল হয়ে ওঠে আখালিয়া। উত্তেজিত জনতা কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত গিয়ে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে আটকে রাখে। ওই সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিসুর রহমান কামরান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন, তবে এতে জনতা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিশেষ টিম সিআরটি এবং জালালাবাদ ও কোতোয়ালি থানার অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাব-৯ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই সময় উত্তেজিত লোকজনের একাংশ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পুলিশ ও উপস্থিত জনতার পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা।

ভোরের আগে ধীরে ধীরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ। ওই সময় দুই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে সিলেটের জালালাবাদ থানার ফতেহপুর মাদ্রাসার এক শিক্ষক এক কার্টুন ও এক বস্তা কোরআন দিয়ে যান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষকের কাছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘রোববার রাত ১০টার দিকে দুই শিক্ষক বস্তার ৪৫টি কোরআন শরিফ কেরোসিন দিয়ে পোড়াতে শুরু করেন। ওই সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও দুজনকে মারধর শুরু করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ওই এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ও জনতার হাত থেকে দুই শিক্ষককে উদ্ধার করে।

‘বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়লে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যদেররা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

সকালে আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্তরা বলছে, তাদের ভুল হয়ে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদেরকে যে ব্যক্তি কোরআন শরিফ দিয়ে গেছেন, তাকে গ্রেপ্তার করলে বিষয়টি জানা যাবে।’

কোরআন শরিফ দিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর