ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
জলাবদ্ধতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ রয়েছে শাটল ট্রেন চলাচল।
পাহাড় ধসে চবি ক্যাম্পাসের একটি বসতঘর ভেঙে একজন আহত হয়েছেন। ধসের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে।
রোববার রাত থেকে ভারি বর্ষণের ফলে এসব ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটাপাহাড় রাস্তায় পাহাড় ধসে মাটি রাস্তায় এসেছে। কাটাপাহাড় রাস্তাটি বন্ধ আছে।
ব্যবসায় প্রশাসন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশের রাস্তায়ও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর সংলগ্ন একটি পাহাড় ধসে পড়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলপকুর পাড়ে পাহাড় ধসে অর্ধেক রাস্তা বন্ধ আছে। তিন নম্বর গোডাউনের পেছনে, স্বাধীনতা ভাস্কর্যের সামনেসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
চবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘শাহী কলোনির একটি বাসার ওপর পাহাড় ধসে বড় গাছ পড়ে বাড়িটি পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল্লাহর রহমতে মানুষগুলোর কিছু হয়নি। আমরা তাদের সেখান থেকে সরে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আশ্রয় নিতে বলেছি।
‘ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকটি জায়গায় পাহাড় ধসেছে; গাছ উপড়ে পড়েছে, বৈদ্যুতিক খুটি ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশের জন্য একটি রাস্তা খোলা আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও মাইকিং করেছিলাম পাহড়ের পাদদেশে থাকা সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে। আজ আবার মাইকিং করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘যেখানে যেখানে গাছ পড়েছে, ব্লক আছে, সেগুলো সরানোর ব্যবস্থা চলছে। পাহাড় ধসে একজন মাথায় আঘাত পেয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।’
শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ
জলাবদ্ধতার জন্য সোমবার সকালে চবির একটি শাটল ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশনে আটকা পড়ে। অন্যদিকে আরেকটি ট্রেন নগরীর ষোলশহরে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো ট্রেনই ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাতে পারেনি।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘রেললাইনের ওপরে পানি উঠে গেছে। ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশন পর্যন্ত এসে আর চলতে পারেনি। তাই ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ আছে।’