মাদারীপুরের মানবপাচার চক্রের হোতা এমদাদ বেপারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। শনিবার রাতে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
রোববার দুপুরে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করে র্যাব-৩।
এমদাদ মাদারীপুরের কুমড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা। তার গ্রেপ্তারের খবরে থানায় অবস্থান নেয় নিখোঁজ অন্তত ২০টি পরিবারের স্বজনরা।
ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, এমদাদ বেপারীর মাধ্যমে অবৈধভাবে সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন অনেক যুবক। গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে বিদেশ পাঠানোর লোভ দেখিয়ে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এমদাদ। পরে মাদারীপুর সদর উপজেলার বড়াইলবাড়ি গ্রামের সজিব মীরার কাছে তাদের বিক্রি করে দিতেন তিনি। অনেক সময় অপহরণের নাটক সাজিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতেন এমদাদ ও সজিবসহ তাদের সহযোগীরা। তবে মুক্তিপণ দিলেও ফেরত আসেনি একজন যুবকও।
দালালদের দেয়া লাখ লাখ টাকা ও নিখোঁজ সন্তানদের দ্রুত ফেরত পেতে সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
২৫ মে গফুর মাতুব্বর নামে এক ভুক্তভোগী এমদাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনি গা ঢাকা দেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সেলিম সরদার বলেন, ‘এমদাদ ব্যাপারীকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। লিবিয়া থেকে এমদাদকে দীর্ঘদিন ধরে সজিব মীরা নামে একজন মানবপাচার ও অপহরণে সহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলবে।’