বৈরী আবহাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ চলাচল বন্ধ বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। একইসঙ্গে মাছধরার ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযানকে নদী-তীরবর্তী নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মেঘনা নদী এখন উত্তাল। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা-তমরুদ্দিন ঘাটে স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মুল ভুখণ্ড থেকে হাতিয়ায় কেউ যেতে পারছেন না এবং হাতিয়া থেকে আসতেও পারছেন না দ্বীপ ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এদিকে মেঘনা নদীতে জোয়ারে পানি বাড়ায় বেড়িবাঁধের বাইরের বাসিন্দাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া নিঝুম দ্বীপের কয়েকটি গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে উপকূলীয় এলাকার জন্য ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করার কারণে এবং বৃষ্টিপাত ও নদী উত্তাল থাকায় সকল প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র সমুহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।