সৌদি আরবের দাম্মামে সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশের একটি পরিবারের তিনজন নিহত ও দুইজন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
শনিবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় নিহত হন বাবা, ছেলে ও মেয়ে। এ ছড়া আহত হন নিহতের স্ত্রী ও বড় মেয়ে।
নিহতরা হলেন- ৪৮ বছরের মোবারক হোসেন, তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ১৭ বছরের ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ১৪ বছরের মেয়ে মাহিয়া মাহি।
আহতরা হলেন- মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার ও বড় মেয়ে ১৯ বছর বয়সী মিথিলা ফারজানা মীম। তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দুর্ঘটনার খবরে নিহত মোবারক হোসেনের বাড়ি ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ চরকমলাপুরে চলছে শোকের মাতম। খবর জানার পর থেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন মোবারকের বৃদ্ধা মা অসুস্থ আলেয়া বেগম।
মোবারক হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে বৃহস্পতিবার নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশে রওনা হন । ওমরাহ্ পালন শেষে শনিবার সকালে তারা দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে আল-কাসিম নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোবারক হোসেন প্রায় ৩০ বছর ধরে সপরিবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করছিলেন। সেখানে তার একটি গাড়ি মেরামতের দোকান রয়েছে। গত চার মাস আগেও পরিবার নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন তারা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, ‘এ রেমিট্যান্স যোদ্ধার মরদেহটি যেন সরকার দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’