চট্টগ্রামের ভুজপুর এলাকায় ২০০৯ সালের রমজানে শ্বশুরবাড়ি থেকে কম ইফতারি দেয়ার ঘটনায় স্ত্রীকে খুন করেছিলেন রফিকুল ইসলাম রফিক। সেই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এলাকা থেকে শনিবার রফিককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বাহিনীটি।
গ্রেপ্তারকৃত ৩৫ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম রফিক ভুজপুর থানার পশ্চিম লম্বা বিল এলাকার বাসিন্দা।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৫ সালে রফিকের সঙ্গে সাবিনা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো সাবিনাকে। ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রমজান মাসে সাবিনার শ্বশুরবাড়িতে ইফতারি পাঠায় তার পরিবার। ইফতারির পরিমাণ কম হওয়ায় তাকে মারধর করা হয়। পরের দিন ভোরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর পার্শ্ববর্তী খালের পানিতে ফেলে দেন রফিক।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ভুজপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট ওই মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত।
রায়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রফিককে গ্রেপ্তারে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ডের ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও ওই মামলায় নিজেকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি বলে স্বীকার করেছেন তিনি।’
গ্রেপ্তার রফিককে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।