জামালপুরে বিশেষ বরাদ্দের ৫ হাজার টন সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
এই বরাদ্দের ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় সাধারণ ডিলারদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে জামালপুর জেলার ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার বরাদ্দ দেয়া হয় ২১৮ জন ডিলারের মাঝে। চাহিদা মোতাবেক এসব সার সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
জেলায় কোনো চাহিদা না থাকলেও চলতি বছরের মার্চ মাসের জন্য জামালপুর জেলায় বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয় ৫ হাজার টন ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার।
তালিকাভুক্ত ২১৮ ডিলারদের মাঝে বিশেষ বরাদ্দের ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার বন্টনের কথা থাকলেও বন্টন করা হয় সিন্ডিকেট প্রধান ফারুক চৌধুরী নির্ধারিত ৪৩ জন ডিলারের মাঝে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা, সিন্ডিকেট প্রধান ও প্রভাবশালী সার ডিলার আলাল উদ্দিন ও নজরুল ইসলামের যোগসাজসে গোপনে এসব সার কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত সার ডিলার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ বরাদ্দের সার বন্টন করেছেন ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহামেদ চৌধুরী। কোন প্রশ্ন থাকলে ফারুক আহামেদ চৌধুরীকে জিগান, আমরা কিছু না।’
সার ডিলার আলাল উদ্দিন জানান, বিশেষ বরাদ্দের সার সব ডিলাররা বরাদ্দ পান না। বিশেষ ডিলারের জন্যই বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়।
ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে জানা যায়, তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক আহামেদ চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।