বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তোশাখানা কী: যে মামলায় গ্রেপ্তার ইমরান খান

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:৪৭

তোশাখানা অর্থ এমন একটি ভান্ডার যেখানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন রকমের মহামূল্যবান উপহার সামগ্রী সংরক্ষিত থাকে। এসব উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে দেশি বা বিদেশি তৈজসপত্র, স্মারক মুদ্রা, বিভিন্ন ধরনের স্মরণিকা, মহান ব্যক্তির প্রতিকৃতি অথবা আলোকচিত্র, শিল্পকর্ম, লোকশিল্প বা হস্তশিল্পের নমুনা।

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান।

লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে শনিবার ইমরানকে গ্রেপ্তার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ইমরানের আবেদন গ্রহণ না করে তিন বছরের সাজা ঘোষণা করার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহার হিসেবে পাওয়া তোশাখানার সামগ্রী বেচাকেনার অভিযোগে ইমরান খানকে এ সাজা দেয়া হয়।

তোশাখানা মামলায় এ বছরের মার্চের মাঝামাঝি ইমরানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তবে শনিবার রায়ের পরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

এমন বাস্তবতায় অনেকের মধ্যেই তোশাখানা বিষয়টি কী, তা নিয়ে জানার আগ্রহ জাগতে পারে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে তোশাখানা সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়, তোশাখানা অর্থ এমন একটি ভান্ডার যেখানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন রকমের মহামূল্যবান উপহার সামগ্রী সংরক্ষিত থাকে। এসব উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে দেশি বা বিদেশি তৈজসপত্র, স্মারক মুদ্রা, বিভিন্ন ধরনের স্মরণিকা, মহান ব্যক্তির প্রতিকৃতি অথবা আলোকচিত্র, শিল্পকর্ম, লোকশিল্প বা হস্তশিল্পের নমুনা।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনে এমন একটি সমৃদ্ধ তোশাখানা রয়েছে, যেটি বঙ্গভবনের মানুক হাউজে অবস্থিত। এই তোশাখানা সংরক্ষণের জন্য ‘তোশাখানা সংরক্ষণ ও প্রশাসন বিধিমালা ১৯৭৪’ প্রণয়ন করা হয়। পরে এটি সংশোধন করে ‘তোশাখানা সংরক্ষণ ও প্রশাসন বিধিমালা ১৯৯০’ জারি করা হয় এবং ২০১২ সালে বিধিমালাটি ফের সংশোধন করা হয়।

স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্রপ্রধানকে উপহার দেয়ার রেওয়াজ চালু হলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান বা খ্যাতিমান ব্যক্তিদের দেয়া উপহারসামগ্রী প্রদর্শনের জন্য এখানে সাজিয়ে রাখা হয়।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় জানায়, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিদেশি দূত ও খ্যাতিমান ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নানা ধরনের শিল্পকর্ম, স্মারক, ক্রেস্ট ইত্যাদি উপহার হিসেবে দেয়ার কারণে তোশাখানার সংগ্রহ দিন দিন বাড়তে থাকে। তোশাখানা থেকে আড়াই শ গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য দেয়া হয়। জাদুঘরের আধুনিক শিল্পকলা ও বিশ্বশিল্পকলা বিভাগ এসব সামগ্রী প্রদর্শন করছে।

দেশের সাধারণ মানুষ যাতে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানকে প্রদত্ত উপহারসামগ্রী দেখার সুযোগ পান, সে লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে রাষ্ট্রীয় তোশাখানা জাদুঘর ভবন নির্মাণ করা হয়।

২০১৮ সালের ২২ আগস্ট বর্তমান তোশাখানা থেকে ৭২৬টি উপহার সামগ্রী সংরক্ষণ ও সর্বসাধারণের দেখার জন্য জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর নবনির্মিত রাষ্ট্রীয় তোশাখানা ভবনের উদ্বোধন করেন। বঙ্গভবনের মানুক হাউজ থেকে উল্লেখযোগ্য উপহারসামগ্রী সেখানে স্থানান্তর করা হয়।

চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার ও তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর