বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিষ্টি পানের রাজ্যে হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘পান ভাস্কর্য’

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ৫ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:৫৫

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘মহেশখালী জেটিতে যাত্রী কিংবা পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘবে বসার স্থান, বিশ্রামের ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, রেস্টুরেন্ট, নামাজের স্থান ও কেনাকাটার ব্যবস্থা থাকবে।’

দেশের একমাত্র পাহাড়ঘেরা দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী। এ দ্বীপের সঙ্গে সহজে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। প্রতিদিনই এ নৌপথে যাতায়াত করেন হাজারও মানুষ। আবার পর্যটন মৌসুমে নৌপথে পর্যটকদের যাতায়াতও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

মহেশখালী জেটিতে প্রতিদিনই যাত্রী কিংবা পর্যটকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে উঠতে হয় স্পিড বোট বা ট্রলারে। জেটিতে নেই কোনো ধরনের বসার ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, নারীদের ব্রেস্ট ফিডিংসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা।

এ ‘নেই’য়ের মধ্যে আশার আলো হয়ে আসতে যাচ্ছে মিষ্টি পানের জন্য বিখ্যাত দ্বীপ উপজেলার জেটিতে প্রকল্পাধাীন ‘পান ভাস্কর্য’।

ভাস্কর্যের পাশাপাশি পাবলিক সিটিং, নামাজের ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, রেস্তোরাঁ ও শপিং করার ব্যবস্থাও থাকবে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার জানান, যাত্রী ও পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।

প্রতিদিনই জেটিতে হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

মহেশখালীর গোরকঘাটার বাসিন্দা ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘পর্যটন মৌসুমে হাজার মানুষ মহেশখালী আদিনাথ মন্দির দেখার জন্য আসে, কিন্তু জেটিতে যখন স্পিড বোট কিংবা ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তখন বসার কোনো স্থান থাকে না। তীব্র রোদের মধ্যে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

মহেশখালী নাগরিক আন্দোলনের মুখপাত্র এস এম রুবেল বলেন, ‘মহেশখালী জেটিটি এক কিলোমিটার হবে, কিন্তু জেটিতে একটি পাবলিক টয়লেটও নেই এবং নামাজ পড়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।

‘উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে উপকৃত হবে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।’

মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমাণ শরীফ বলেন, ‘৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপের চারপাশে পাহাড় আর সমুদ্র। এ জনপদের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই অংশ কউকের এ ভাস্কর্য, যা বাস্তবায়িত হলে প্রায় চার লাখ মানুষের দুর্ভোগ কমবে। পাশাপাশি দ্বীপে আগত পর্যটকরাও নিরাপদে সমুদ্র পারাপার করতে পারবেন।’

কউক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘মহেশখালী জেটিতে যাত্রী কিংবা পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘবে বসার স্থান, বিশ্রামের ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, রেস্টুরেন্ট, নামাজের স্থান ও কেনাকাটার ব্যবস্থা থাকবে। এটি দৃষ্টিনন্দন করার মাধ্যমে একদিকে যেমন সৌন্দর্য বাড়বে, ঠিক তেমনি পর্যটক কিংবা যাত্রীদের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।’

কক্সবাজারের উন্নয়নে সবার সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘বর্তমান সরকার কক্সবাজারকে অনেক কিছু দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীকে সিঙ্গাপুরের আদলে রূপ দিতে চায় সরকার।

‘বর্তমানে মহেশখালী জেটিটি জরাজীর্ণ। তাই ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে পান ভাস্কর্য।’

এ বিভাগের আরো খবর