বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্দোষ সুপারভাইজার ফয়সাল, তদন্তে দুর্ঘটনার ৩ কারণ

  • প্রতিনিধি, ঝালকাঠি   
  • ৪ আগস্ট, ২০২৩ ২১:৩৫

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মামুন শিবলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে যে তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো- বাসচালকের খামখেয়ালিপনা, চালকের অপেশাদারি আচরণ এবং বিধি ভেঙে সড়কের পাশে বড় পুকুর খনন করা।’

ঝালকাঠির ছত্রকান্দায় পুকুরে বাস পড়ে ১৭ জনের প্রাণহানির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত কমিটি। ওই প্রতিবেদনে সুপারভাইজারকে দোষী উল্লেখ করা হয়নি। তবে দুর্ঘটনায় চালকের খামখেয়ালিপনাসহ ৩ কারণ শনাক্ত করেছে তদন্ত দল।

ঝালকাঠির বাস দুর্ঘটনায় সুপারভাইজার ফয়সাল কীভাবে দোষী, প্রশ্ন বাবার’ শিরোনামে ২৭ জুলাই একটি সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা।

সংবাদটিতে সুপারভাইজার ফসালের দিনমজুর বাবা নুরুল ইসলামের বরাতে লেখা হয়, ‘কী দোষ ছিল আমার ছেলের। সে তো গাড়ি চালায়নি, বাস যাত্রীদের টিকিট চেক করা ছিল তার দায়িত্ব। অথচ বিনা অপরাধে আমার ছেলেকে মামলার আসামি হতে হলো, বিনা দোষে সন্তান আজ জেলে।’

সুপারভাইজার ফয়সালের স্বজনদের দাবি, ‘মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে সরকারি জমিতে যিনি পুকুর কেটেছেন, তিনিই হবেন এ মামলার আসামি। কিন্তু তিনি আসামির তালিকায় নেই। এ ছাড়া ভারি লাইসেন্স ছাড়া চালককে দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাশার স্মৃতি পরিবহনের মালিক আবুল কালাম আকন। তাকেও এ মামলায় আসামি করা হলো না, এটা দুঃখজনক।’

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মামুন শিবলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে যে তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো- বাসচালকের খামখেয়ালিপনা, চালকের অপেশাদারি আচরণ এবং বিধি ভেঙে সড়কের পাশে বড় পুকুর খনন করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনা কবলিত বাসার স্মৃতি বাসের ফিটনেস থাকলেও চালক মোহন খানের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল হালকা গাড়ি চালানোর। কিন্তু তিনি বাসের মতো একটি ভারি যানবাহন চালাচ্ছিলেন। তাছাড়া দুর্ঘটনার আগে চলন্ত বাসের চালক যাত্রীদের সঙ্গে তর্ক করছিলেন। মালিক পক্ষের উচিত, কার হাতে গাড়ি দিচ্ছেন তা যথাযথ মনিটরিং করা।’

তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, সড়কের পাশে বড় ও গভীর পুকুরটি মৃত্যুকূপ হিসেবে রূপ নিয়েছে। ঝালকাঠি থেকে পিরোজপুর বা মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা সড়কটি অত্যন্ত পুরাতন। এ সড়ক প্রশস্ত না করায় জমির মালিকরা সেখানে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছে। সড়কটির দুই পাশে ১০-১২ ফুট জমি অধিগ্রহণ করা থাকলে দুর্ঘটনা ঘটলেও এত প্রাণহানি হতো না।’

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। সুপারিশ অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

গত ২২ জুলাই সকাল ১০টার দিকে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ছত্রকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এতে ১৭ জন নিহত ও অন্তত ৩৫ জন আহত হন।

ঘটনার একদিন পরে ঝালকাঠি সদর থানার এসআই সুশংকর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তিনজনকে আসামী করা হয়।

আসামীরা হলেন- বাসের চালক ৪০ বছর বয়সী মোহন, ২০ বছর বয়সী সুপারভাইজার ফয়সাল এবং ১৭ বছরের হেলপার আকাশ।

এ মামলায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর চালক ও সুপারভাইজার জেল হাজতে গেলেও এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে অধরা আসামী বাসটির হেলপার আকাশ।

এ বিভাগের আরো খবর