গাজীপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার কাপাসিয়া এবং সকাল ৭টার দিকে মহানগরীর কোনাবাড়ি বাইপাইল এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের সাংবাদিক ৫০ বছর বয়সী মঞ্জুর হোসেন মিলন, নীলফামারী সদর উপজেলার দারোয়ানি গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলে ৩০ বছর বয়সী শাহ আলম এবং ৩০ বছর বয়সী জুয়েল রানা ।
নিহত মিলন গাজীপুর সিটি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং দৈনিক করতোয়া ও দৈনিক ভোরের দর্পণের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
কাপাসিয়া থানার ওসি এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, ‘সাংবাদিক মিলন গাজীপুর শহরে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। শুক্রবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে কাপাসিয়ায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। পথে গাজীপুর-কাপাসিয়া সড়কের কোটবাজালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বালুভর্তি ড্রামট্রাক তাকে চাপা দেয়। এসময় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’
অন্য দুর্ঘটনার ব্যাপারে কোনাবাড়ি থানার ওসি কে এম আশরাফ হোসেন বলেন, 'শুক্রবার ভোরে কাশিমপুরের চক্রবর্তী থেকে ৮ থেকে ১০ জন বন্ধু একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বেড়ানোর উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি সকাল ৭টার দিকে কোনাবাড়ির বাইপাইল (সাইনবোর্ড) এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসের একটি চাকা ফেটে যায়। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো একটি কাভার্ডভ্যানে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খায় মাইক্রোবাসটি। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে মাইক্রোবাসের পেছনের সিটে বসা শাহ আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
‘গুরুতর আহত জুয়েল রানাকে উদ্ধার করে কোনাবাড়ি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপিজে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, 'মাইক্রোবাসের চালকসহ আরও তিনজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তারা আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। মাইক্রোবাসটি আটক করা হলেও আহত অবস্থায় চালক পালিয়ে গেছেন।’
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।