বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাবনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ৪ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:৪৫

পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘আমার কোনো মতামত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেয়নি। তড়িঘড়ি করে রাতারাতি তারা কেন কমিটি করলেন, সেটিও আমার বোধগম্য নয়।’

যোগ্য নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে পদবাণিজ্যের মাধ্যমে উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।

অনিয়মের কারণ জানতে চেয়ে সোমবার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোমবার পাবনার সুজানগর উপজেলা ও আমিনপুর থানার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন। গঠনতন্ত্রে আহ্বায়ক কমিটি ৩১ সদস্যের বেশি করার নিয়ম না থাকলেও সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার ৩৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে সেটি পরিবর্তন করে আবার একই তারিখ দেখিয়ে কমিটির সদস্য ৪৩ জন করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, একইভাবে গঠন করা হয়েছে ওই থানার একাধিক ইউনিয়ন কমিটিও। রানীনগর ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণার পর পছন্দের লোক বাদ পড়ায় পরবর্তী সময় সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলেও নোটিশে বলা হয়।

এর আগে সাঁথিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩১ সদস্যের বাইরে ৫৪ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

৭ আগস্টের মধ্যে এমন অনিয়মের কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

সাঁথিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য পদত্যাগ করা যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান রুবেল বলেন, ‘জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন গোপনে প্রায় ২২ লাখ টাকা নিয়ে শীর্ষ পদের দায়িত্ব দিয়েছেন শামসুল হক স্বপন প্রামাণিককে।

‘এ কারণে কমিটি প্রত্যাখান করে ৫৪ সদস্যের প্রায় ৫০ জনই পদত্যাগ করেছেন। যোগ্য কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে আজ্ঞাবহ লোকেদের কাছে পদ বিক্রি করেছেন রুহুল আমিন। সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলুও এ অনিয়মে বাধা দেননি।’

বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রুবেল রহমান বলেন, ‘আমিনপুর থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি দেয়া হয়েছে সোমবার। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে যুবদলের আহ্বায়কের শ্যালককে। তার কোনো রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই।

‘পূর্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগ করার মতো কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। আমি দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে রাজনীতি করলেও আমি অবহেলিত।’

আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী খান বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি, তবে অনিয়মের আশঙ্কা থেকে আমরা সবার মতামতের ভিত্তিতে সমন্বয় করতে বলেছিলাম, যেন দল সুসংগঠিত হয়। দলটি সেটি করেনি।’

পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘আমার কোনো মতামত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেয়নি। তড়িঘড়ি করে রাতারাতি তারা কেন কমিটি করলেন, সেটিও আমার বোধগম্য নয়।’

অভিযোগের বিষয়ে আহমেদ শরীফ ডাবলু বলেন, ‘কাজ করলে অভিযোগ থাকবেই। অনেক সংগঠন সমালোচনা বা অভিযোগের ভয়ে কমিটিই দিচ্ছেন না। আমরা দিচ্ছি, তাই অভিযোগ আসছে।’

সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, ‘কমিটির সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। সেটির জবাব কেন্দ্র চেয়েছেন, আমরা দিয়েছি। বাকিটা সংগঠন বুঝবে, তবে সাবেক ছাত্রনেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে যোগ্য লোকদেরই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পদবাণিজ্যের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

এ বিভাগের আরো খবর