সমিতি থেকে চড়া সুদে নেয়া ঋণের টাকা জোগাড় করতে চাচা-ভাতিজাকে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শুক্রবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
র্যারেব ভাষ্য, টাঙ্গাইলের সখিপুরে ব্যবসায়ী শাহজালাল ও তার চাচা মজনুকে হত্যা করেন মোস্তফা মিয়া ও আলামিন।
র্যাব কর্মকর্তা মঈন জানান, স্থানীয় সমিতি থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন মোস্তফা। তার এই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সমিতি থেকে চাপ দেয়া হয়। টাকা ফেরত দিতে মোস্তফা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তার হাতে টানাটানিও ছিল। মোস্তফা রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। আল আমিন ছিলেন তার সহযোগী।
আসামিদের বরাত দিয়ে মঈন বলেন, ‘নিহত শাহজালাল মোবাইল ব্যাংকিং করতেন। তিনি যখন বাসায় ফিরতেন তখন সঙ্গে এক থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যেতেন। তাকে দীর্ঘদিন নজরে রাখে মোস্তফা ও আলামিন। কখন কবে বাসায় যায় এবং সঙ্গে কখন টাকা থাকে সেটা নজরদারিতে রাখে। গত ১৯ জুলাই রাতে মোস্তফা তার সহযোগীকে নিয়ে জামালের চালা নামক নির্জন স্থানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন।
‘এ সময় দোকান বন্ধ করে বাসার দিকে রওনা হন শাহজালাল। রাস্তায় চাচা মজনুকে পায় শাহজালাল। তাকেও মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেয় শাহজালাল। এরপর জামালের চালা এলাকায় এসে পৌঁছালে মোস্তফা ও আল আমিন তাদের দুজনকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে দুজনই নিহত হন। তাদের মোটরসাইকেল পাশের নির্জন জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়। আর দুটি মোবাইল পায় তারা। একটি মোবাইল ফেলে দেয় ডোবায়। আরেকটি মোবাইল নিয়ে যান মোস্তফা।’
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ২০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করে।
র্যাব জানায়, এই ঘটনার পর দুই হত্যাকারী এলাকায় ছিলেন, কিন্তু এটা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখে আসামিরা পালান। র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা ও র্যাব-১৪ এর অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।