বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালিককে পথে বসিয়ে অবশেষে গ্রেপ্তার কর্মচারী

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ৪ আগস্ট, ২০২৩ ১২:২১

পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ‘ঘটনার পরই সজিব তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এমনকি সে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করত না। ফলে তার পালিয়ে থাকার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা কঠিন ছিল।’

ময়মনসিংহের ত্রিশালের হুমায়ুন কবীর তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সৌদি আরবে; ছিলেন সফল ব্যবসায়ী, কিন্তু কানাডা যাওয়ার ফাঁদে পড়ে সৌদির ব্যবসা ও দেশের জমিজমা বিক্রি করে তার দোকানের কর্মচারী সজীবকে দেন প্রায় দুই কোটি টাকা। এর পর থেকে লাপাত্তা সজিব।

এ ঘটনায় মামলা হওয়ার প্রায় দুই বছর পর সজিব ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে শুক্রবার সকালে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন সজিব রহমান ও তার সহযোগী সোহেল রানা।

সজিব নওগাঁর রানীনগর থানার দেওলা (সহলিয়া) গ্রামের বাসিন্দা। প্রতারণার শিকার হুমায়ুন কবির ত্রিশাল পৌরসভার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুন কবির ২০০১ সাল থেকে সৌদি আরবে থাকতেন। প্রথমে শ্রমিক হিসেবে গেলেও ২০০২ সালে সৌদি আরবে নিজস্ব ফুড ও লন্ড্রি ব্যবসা শুরু করে সচ্ছলতার সঙ্গে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে দিনাতিপাত করে আসছিলেন সৌদিতে।

২০২০ সালের শেষের দিকে তার দোকানে কাজ নেন সজিব রহমান। পাঁচ মাস কাজ করার পর সজিব প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কানাডায় যাওয়ার কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে হুমায়ুনকে বলেন, তিনি কানাডা যাচ্ছেন। হুমায়ুন যদি তাকে টাকা দেন, তাহলে তিনি তাকেও সপরিবারে কানাডায় নিয়ে যেতে পারবেন।

হুমায়ুন তাকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে, বিকাশে এবং নগদ অর্থ দিতে থাকেন। সজিব কানাডায় যাওয়ার অংশ হিসেবে দেশে চলে এসে হুমায়ুনকেও দেশে আনেন। প্রবাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি ও দেশের জমিজমা বিক্রি করে এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা দেন সজিবকে। এর পর থেকে সজিব তার ফোন নম্বর বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান।

হুমায়ুন ত্রিশাল থানায় ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর মামলা করেন। প্রথমে থানা পুলিশ, পরে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে আসামি ধরতে না পারলে আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআই ময়মনসিংহকে দেয়।

চলতি বছরের ১৮ মার্চ মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ঢাকার মধ্য বাড্ডার গোদারাঘাট এলাকা থেকে সজিব ও তার সহযোগী সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ‘ঘটনার পরই সজিব তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এমনকি সে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করত না। ফলে তার পালিয়ে থাকার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা কঠিন ছিল।’

তিনি জানান, সোহেল রানা ও সজিব রহমানকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সজিব ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ বিভাগের আরো খবর