জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজার রায়কে ফরমায়েশি উল্লেখ করে তা প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সাবেক মন্ত্রী নিতায় রায় চৌধুরী, আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির উদ্দিনসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তারেক দম্পতির রায়ের বিরুদ্ধে রোববার সারাদেশে সব বারে কালো পতাকা মিছিল এবং মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির এই আইন সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আদালতকে ব্যবহার করে একের পর এক ফরমায়েশি সাজা দেয়া হচ্ছে, যা এদেশের কোনও মানুষই বিশ্বাস করে না।’
এই মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা নজিরবিহীন। সরকারের নির্দেশে গভীর রাত পর্যন্ত মোমবাতি জালিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে মামলায় সাজানো সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ দলীয়ভাবে ব্যবহার করে স্বীয় স্বার্থে দিনকে রাত আর রাতকে দিন করে চলেছে। সরকার বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ধরনের ফরমায়েশি রায় রায় প্রত্যাখ্যান করছি।’
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বুধবার আদালত তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান ঘোষিত এই রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে ৩ কোটি ও জুবাইদা রহমানকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।