বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিএনপির প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলাতেই তারেক-জুবায়দার বিরুদ্ধে রায়’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:০৫

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার এ মামলা করেনি। বিএনপির পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারই এই মামলা করেছিল। আমাদের সরকার যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ হতো, তাহলে আমরা মামলা করতাম আর রায়ের জন্যও ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না, অনেক আগেই রায় হতো।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের করা মামলায় তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জুবায়দা রহমানের বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার এ মামলা করেনি। বিএনপির পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকারই এই মামলা করেছিল। আমাদের সরকার যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ হতো, তাহলে আমরা মামলা করতাম আর রায়ের জন্যও ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না, অনেক আগেই রায় হতো।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রায়ের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজকে এবং আগামীকালও তাদের কর্মসূচি আছে। কিন্তু আমাদের সরকারের আমলে এ মামলা হয়নি। এই মামলা হয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, যখন ইয়াজউদ্দিন সাহেবকে বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। আর বিশ্বব্যাংকে কর্মরত ফখরুদ্দীন সাহেবকে ধরে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আর সেই সেনা-সমর্থিত সরকারের সেনাবাহিনীর প্রধান বানানো হয়েছিল ৭ জনকে ডিঙ্গিয়ে।

‘তাদের পছন্দের মানুষরা যখন ক্ষমতায়, তখনই এ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় তাদের শাস্তি হয়েছে।’

রায় নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইন-আদালত কোনোকিছুর ওপরই তো বিএনপির কোনো আস্থা নেই। কোনো কিছুকে তারা তোয়াক্কা করে না। শুধু ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে যায়। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বিদেশিরা প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসে।’

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’

বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা প্রকৃত অর্থে স্মরণকালের বিশাল জনসমুদ্রের রূপ নিয়েছিলো। এতেই প্রমাণিত হয় দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে কতটুকু ভালোবাসে, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ওপর দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন আছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা রংপুর শহরের জিলা স্কুল মাঠে জনসভার ডাক দিয়েছিলাম। তবে কার্যত পুরো রংপুর শহরই জনসভাস্থলে পরিণত হয়। হুইল চেয়ারে বসে ৯৬ বছর বয়সী ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ মহিলাসহ লাখ লাখ মানুষ সেখানে যোগদান করেছেন। মাঠের বাইরে অন্তত চার-পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী জনসভাস্থলের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ ছিল।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য মানুষের মধ্যে যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আমরা দেখতে পেয়েছি, তাতে আমরা অভিভূত হয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর