ময়মনসিংহের ত্রিশালে আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার হত্যা মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহের দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ সাবরিনা আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মোশাররফ হোসেন।
সাজাপ্রাপ্ত সবাই ত্রিশাল থানাধীন বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোবারক হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, রুবেল, সেলিম, সোহাগ ও ইদ্রিছ। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মোফাজ্জল হোসেন ও দুলাল উদ্দিন।
আব্দুল মতিন মাস্টার উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি জমির দালাল সিন্ডিকেট অসহায় মানুষের জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করার ঘটনায় আব্দুল মতিন মাস্টার প্রতিবাদ করেছিলেন। এ নিয়ে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।
২০১৮ সালের ৪ জুলাই সকালে বাড়ির পাশের একটি ফিসারিতে আব্দুল মতিনের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে আদালত এক আসামিকে অব্যাহতি দিলে বাকি আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ওই ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, আশা করছি দ্রুত সময়ে এই রায় কার্যকর করা হবে। তাহলেই আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।’
রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আসামি পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারও বক্তব্য জানা যায়নি।