শেরপুরে চাকরির লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা সদর জি.আর আমলি আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজির হয়ে আসামিরা জামিনের আবেদন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক।
যাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ ৫২ বছর বয়সী শহিদুল ইসলাম রেজা ও একই কলেজের প্রভাষক ৪২ বছর বয়সী আলফাজ উদ্দিন, অধ্যক্ষ শহিদুলের আত্মীয় শেখ জামাল ও হযরত আলী।
এ বিষয়ে আদালতের পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক জানান, আসামিরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমলি আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা জমা ও আত্মসমর্পণ না করে সেই নির্দেশনা অমান্য করেছেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই তাদের কারাগাারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার লছমনপুর ঘিনাপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে ২৩ বছর বয়সী মোতালেব মিয়াকে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি দেয়ার লোভ দেখান অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা ও প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন। অধ্যক্ষ শহীদুল তার দুই আত্মীয়ের সহযোগিতায় ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে চাকরির ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও চাকরি না হওয়ায় মোতালেব মিয়া চলতি বছরের ২৬ মে অধ্যক্ষের কাছে টাকা ফেরত দাবি করেন, কিন্তু অধ্যক্ষ সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় ৭ জুন মোতালেব মিয়া বাদী হয়ে অধ্যক্ষসহ চারজনের নামে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান, কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিরা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আমলি আদালতে জামিননামা জমা ও আত্মসমর্পণ করেননি।
এদিকে দুর্নীতি, স্বাক্ষর জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজার অপসারণের দাবিতে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনালের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে টানা আন্দোলন করছে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’।