কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুজন।
ভেড়ামারা উপজেলার গোডাউন মোড় এলাকায় বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের অভিযোগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) যুবজোটের জেলা কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
কিন্তু জাসদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি দলীয় কোনো ঘটনা নয়, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত পূর্ব বিরোধ রয়েছে।
‘গুলিবিদ্ধ’ ৩৫ বছর বয়সী সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক ভেড়ামারা উপজেলার খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক বুধবার রাতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে গোডাউন মোড় এলাকায় পৌঁছালে বুধবার রাত ১১টার দিকে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন তিনি। পায়ে গুলি লাগে তার।
এ ছাড়াও বেলাল হোসেন ও শ্যামল সরদার নামে আরও দুই কর্মী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার জানান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সঞ্জয়ের পায়ে ছোড়া গুলির আলামত আছে। এক্সরে করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
চিকিৎসাধীন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী বেলাল হোসেন জানান, জাসদ যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
জাসদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন জানান, এটি দলীয় কোনো ঘটনা নয়, ব্যক্তিগত বিরোধে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও তাদের মধ্যে গোলযোগ হয়েছে। এ ঘটনার দায় জাসদ বা যুবজোট নেবে না।
পুলিশকে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ভেড়ামারা থানার ওসি মো. জহুরুল ইসলাম বুধবার দুপুর ১২টার সময় জানান, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ আসেনি।
তিনি আরও জানান, দলীয় কোনো বিরোধ নয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুলি ছোড়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।