বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামায়াতের কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন: শুনানি এগিয়ে আনার আরজি আইনজীবীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ আগস্ট, ২০২৩ ১০:৩৮

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ছয় বিচারপতির আপিলে বেঞ্চে এ আবেদন করেন আবেদনের পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম।

জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সভা, সমাবেশ ও মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি এগিয়ে আনতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী। তবে আদালত বলেছে, আগামী বৃহস্পতিবার তালিকায় এগিয়ে থাকবে।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ছয় বিচারপতির আপিলে বেঞ্চে এ আবেদন করেন আবেদনের পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘জামায়াতের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি এগিয়ে আনার জন্য আমরা প্রার্থনা করেছিলাম। যেহেতু ৪ তারিখ তাদের সমাবেশ আছে সেহেতু এটি যেন তাড়াতাড়ি হয়, সেই আবেদন করেছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতে বলেছি আগামী সোমবার দিন ঠিক করার জন্য। একই সঙ্গে আগামী ৪ আগস্ট জামায়াতের যে কর্মসূচি রয়েছে তা পালন থেকে তারা যেন বিরত থাকে। কোর্ট জানায়, আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মামলাটি তালিকায় এগিয়ে আসবে।’

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট খুঁজে দেখা যায়, জামায়াতের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য কার্য তালিকার ৫১ নম্বরে রয়েছে। এ অবস্থায় শুনানির জন্য মামলাটি এগিয়ে আনতে আবেদন করেন আইনজীবী। তবে আদালত তাতে সাড়া দেননি।

গত ২৬ জুন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন জামায়াতের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। এর এক মাস পর এই আবেদনের সঙ্গে পক্ষভুক্ত হতে আরও ৪২ নাগরিক আবেদন করেন। যা এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিট করেন।

সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন।

রুল জারির কারণে ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

এরপর ২০১৩ সালে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন। সেই বেঞ্চ রুল শুনানি শেষ করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দেন। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।

এ বিভাগের আরো খবর