বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনিয়ম ধরার ‘পুরস্কার’ স্ট্যান্ড রিলিজ

  • প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ   
  • ২ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৫৫

স্ট্যান্ড রিলিজ পাওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘গত ২১ জুন নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হৃদয় এন্টারপ্রাইজকে ভবনটি ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছি। এরপর ঘটনাটি প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়কে জানানোর পর ২৬ জুলাই আমি স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ পেয়েছি।’

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৭০ নম্বর বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একতলা ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের ঘটনা ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে নিজেই স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ পেয়েছেন জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান। তবে ওই নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুব মুর্শেদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করায় প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে-বাইরে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার বিকেলে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান তার স্ট্যান্ড রিলিজের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২১ জুন নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হৃদয় এন্টারপ্রাইজকে ভবনটি ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছি। এরপর ঘটনাটি প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়কে জানানো হলে তিনি ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিমকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির তদন্ত কাজ এখনও চলমান।

‘এরমধ্যেই ২৬ জুলাই আমি স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ পেয়েছি। তবে এখনও আমি ময়মনসিংহেই দায়িত্ব পালন করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ পেলে আমি এখান থেকে চলে যাব। কিন্তু কী অপরাধে আমার বিরুদ্ধে এই আদেশ দিয়েছেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।’

তবে এ নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহাবুব মুশের্দের দায় থাকলেও তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মাঝে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী মো. মাহাবুব মুর্শেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। সে মোতাবেক ভবন ভাঙা হচ্ছে। আশা করছি, দুয়েকদিনের মধ্যে ভবন ভাঙার কাজ শেষ হবে।’

কর্তব্য অবহেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে শোকজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমি শোকজের জবাব দিয়েছি। এ ছাড়া আর কিছু আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও এলজিইডি ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিমের নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে তদন্ত কমিটির সদস্য ও এলজিইডির মান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এনামুল হক খান বলেন, ‘তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়নি। তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হয়েছে কি না, আমার জানা নেই।’

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ের চারতলাবিশিষ্ট ভবনের জন্য একতলা ভবন নির্মাণের ওই কাজটি করেছে মের্সাস হৃদয় এন্টারপ্রাইজ। চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ২৭ জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে চলতি বছরের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর