বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজধানীতে অনিবন্ধিত রিকশা চলবে না: তাপস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:২৫

মেয়র তাপস বলেন, ‘ডিএসসিসি এলাকায় নিবন্ধিত রিকশা ছাড়া আমরা অন্যান্য সকল রিকশাকে অবৈধ ঘোষণা করেছি। সুতরাং অবৈধ রিকশা ব্যাটারিচালিত হোক কিংবা অনিবন্ধনকৃত পা-চালিত হোক, এগুলো ঢাকা শহরে চলতে পারবে না।’

ঢাকা শহরে অনিবন্ধিত, অবৈধ রিকশা আর চলতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ধাপে ধাপে সব অনিবন্ধিত রিকশা সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার সকালে ধানমণ্ডি ২/এ এলাকায় রিকশা স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘ডিএসসিসি এলাকায় নিবন্ধিত রিকশা ছাড়া আমরা অন্যান্য সকল রিকশাকে অবৈধ ঘোষণা করেছি। সুতরাং অবৈধ রিকশা ব্যাটারিচালিত হোক কিংবা অনিবন্ধনকৃত পা-চালিত হোক, এগুলো ঢাকা শহরে চলতে পারবে না।

‘এ কার্যক্রম একদিনে করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। রিকশা মালিক সমিতিও রাজি হয়েছে যে, নিবন্ধিত রিকশা ছাড়া ঢাকা শহরে তারা আর কোনো রিকশা পরিচালনা করবেন না।’

রিকশা মালিক সমিতিই নিবন্ধিত রিকশা ছাড়া অন্যান্য রিকশা পরিচালনা বন্ধ করবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘এরমধ্যে আমরা রিকশা নিবন্ধন শুরু করেছি। আমরা চাইব, ঢাকা শহরে শুধু বৈধ নিবন্ধনকৃত রিকশা চলবে। সেজন্য আমরা রিকশা মালিক সমিতির সঙ্গে বসেছি। আজকেও উনারা উপস্থিত আছেন। তারাও রাজি হয়েছেন, এখন থেকে নির্ধারিত স্থান থেকেই তারা রিকশা সেবা পরিচালনা করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২ নম্বর সড়কের ভেতর আমরা ১০টি রিকশা রাখার স্থান নির্ধারণ করে দিব। জায়গাটা রং দিয়ে, স্ট্যান্ড দিয়ে সুন্দর একটি পরিবেশ আমরা করে দিব এবং উনারাই এটা পরিচালনা করবেন। আমরা এই দায়িত্বটা উনাদেরকেই দিচ্ছি। উনারা এটা শৃঙ্খলার সঙ্গে পরিচালনা করবেন।

‘এ ছাড়া অন্য জায়গা থেকে তখন আর রিকশায় ওঠানামা হবে না। সকলেই জানবে, যাত্রীরাও জানবেন কোথা থেকে তারা উঠবেন, কোথায় নামবেন। যান চলাচল ব্যবস্থাপনাকে এভাবেই আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসব।’

যান চলাচল ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা মনে করি, ঢাকা শহরে রিকশা অত্যন্ত কার্যকর ও ফলপ্রসূ একটি বাহন। যা দিয়ে এখনও ঢাকা শহরের প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ যাতায়াত করেন। সুতরাং, এই গণপরিবহনকে আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে যাতে মানুষ সেখান থেকে আরও সুফল পায়।

‘আমরা চাই, নির্ধারিত জায়গা থেকে যাত্রীরা রিকশায় উঠবে এবং নির্ধারিত জায়গায় আবার নেমে যাবে। সুতরাং, তাদের যাতায়াতের পূর্ণ যে কার্যক্রম রয়েছে তা শৃঙ্খলার আওতায় আসবে। সেই প্রেক্ষিতে এই সাত মসজিদ সড়ক, ধানমণ্ডির পশ্চিম প্রান্তের ঝিগাতলা, হাজারীবাগে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর যে যাতায়াত ব্যবস্থা, সেটিকে আরও সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য আমরা নির্ধারিত স্থানে রিকশা রাখার স্থান তথা স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করছি। সাত মসজিদ সড়কে যান চলাচলের ব্যাবস্থা আধুনিকায়নের জন্য যে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে, তারই অংশ হিসেবে আমরা এটা করেছি।’

এ সময় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘বড় বড় বহুতল যে ভবনগুলো রয়েছে, তাদের নির্ধারিত গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গার বাইরেও তারা রাস্তার ওপরে যত্রতত্র গাড়ি রাখে, যত্রতত্র পার্কিং করে। এটাও আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসব ইনশাল্লাহ। যত্রতত্র যারা গাড়ি রাখে সেটার বিরুদ্ধেও আমরা অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করব।’

এসময় ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে জাদুকরী কোনো সমাধান নেই। সুনির্দিষ্ট একটি কাজ করলে এডিস মশা পুরোটা বিলুপ্ত হবে, এ ধরনের কোনো সমাধান নেই। আজ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সমাধান সারাবিশ্বে কেউ দিতে পারেনি। সুতরাং, এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের যে স্বীকৃত পদ্ধতি, আমাদেরে সেটিই অনুসরণ করতে হচ্ছে।

‘কিন্তু, উৎস নিধনে সফল এবং আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে হলে, জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। নাগরিকেরা যদি দায়িত্বশীল না হন এবং উৎসগুলো চিহ্নিত করে না দেন, তাহলে সিটি করপোরেশন সেই জায়গায় গিয়ে এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে পারবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের যে তথ্য প্রেরণ করা হয় এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যারা তথ্য দেন, সে তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিয়মিত এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করছি।’

পরে ধানমণ্ডি ৮/এ-এর কেয়ারি প্লাজা এবং শংকর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এলাকায় রিকশা স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।

এ বিভাগের আরো খবর