রাজধানীর পল্টনে কার্যালয়ে জোর করে প্রবেশ ও ভাঙচুরের মামলার আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর তার বাসায় লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সে (নুর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত ভিপি। উনারতো আইন জানার কথা। উনি কেন তার বাসার মধ্যে মামলার আসামিকে লুকিয়ে রাখবেন? আমরা সেটা জেনেই গিয়েছি। উনার উচিত ছিল, বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করা।’
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় জোর করে প্রবেশ ও ভাঙচুরের অভিযোগে গত ২১ জুলাই মামলা হয়েছে। এই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের উত্তেজিত করার চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্টে নুরুল হক নুরের বাসায় অভিযানের বিষয়ে ডিএমপি ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পুলিশ তো পরিচয় দিয়েছে। আমরা আইনের কোনো ব্যত্যয় করিনি। মামলার আসামি তো রয়েছেই। তিনি ফেসবুকে, ইউটিউবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করেনছে। এই ভিডিওটা রয়েছে। তার নামে মামলা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নুর একজন মেধাবী ছাত্র। ভিপি ছিলেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তারই তো উচিত ছিল মামলার আসামি লুকিয়ে থাকলে তাকে বের করে দেয়া। তিনি তা না করে উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হলেন, গালিগালাজ করলেন, সরকারি কাজে বাধা দিলেন।’
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করেছি অনেকক্ষণ। আমাদের পুলিশ তাকে বারবার বলেছে, আপনি আমাদেরকে আসামিটা দিয়ে দেন। আইনে বলা আছে, মামলার আসামি যার বাসাতেই থাকুক, আমরা আনতে পারি। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করেও আনতে পারি। আইনের বাইরে কিছু নাই। মামলার আসামিকে আনা হয়েছে, উসকানিদাতাকে আনা হয়েছে।’