প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে রংপুর শহর। মিছিল-স্লোগানে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে উত্তরের এই জনপদ।
অপরূপ সাজে সেজেছে শহরের রাস্তাঘাট অলিগলি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতম জানিয়ে চলছে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাঁটানো বিলবোর্ড ব্যানার পোস্টারের প্রতিযোগিতা।
এদিকে আওয়ামী লীগের এই মহাসমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। বুধবার সকাল থেকে জিলা স্কুল মাঠের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
অনেকে রাতেই এসে অবস্থান নিয়েছেন সভাস্থলের আশপাশে। মহা সমাবেশে আগত নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে চারপাশের রাস্তাঘাট।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে জিলা স্কুল মাঠ তথা জনসভার মাঠে প্রবেশের জন্য তিনটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেটগুলোতে বাঁশের ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। একটি গেট দিয়ে লাল ও হলুদ সবুজ কার্ডধারী প্রবেশ করতে পারবেন।
মঞ্চের সঙ্গেই আরেকটি ভিআইপি গেট রয়েছে। সেখান দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় ও আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন।
জনসভাকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যারা মাঠে প্রবেশ করবেন, তাদের প্রত্যেককে পুলিশ তল্লাশি করবে। কড়া নজরদারি করছে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ)। এছাড়া মঞ্চের পেছনে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, জনসভার নিরাপত্তায় পোশাক পরা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউজ পুরোটাই সিসি ক্যামেরার কাভারেজে রয়েছে। সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এক হাজারেরও বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সবমিলিয়ে রংপুর নগরীর এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে ঘিরে একাট্টা ও উজ্জীবিত রংপুর আওয়ামী লীগ। এ মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে তৃণমূল আওয়ামী আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। এর সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় পর রংপুরে আসছেন শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় এসেছিলেন তিনি।