গণমাধ্যমে গোপনীয় তথ্য প্রকাশ ও নির্বাচনি বোর্ডে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পালি বিভাগের সভাপতি শাসনানন্দ বড়ুয়া রূপনের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে. এম. নূর আহমদের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। তবে কত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে- সেটি উল্লেখ করা হয়নি।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুককে। সদস্য করা হয়েছে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হেলাল উদ্দিনকে। সহকারী প্রক্টর হাসান মুহাম্মদ রোমানক সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, পালি বিভাগের সভাপতি জনাব শাসনানন্দ বড়ুয়া রুপন নির্বাচনি বোর্ডের একজন সদস্য হয়ে নির্বাচনি বোর্ড চলাকালে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্যাদি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে তদন্ত করা হোক। তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য উপাচার্য মহোদয়কে ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৪৪তম সভার ৩২(ঘ)-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে. এম. নূর আহমদ বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পালি বিভাগের সভাপতি শাসনান্দ বড়ুয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভি বড়ুয়াকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করাকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় মহলে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
পরবর্তীতে গত ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী এই পর্ষদ।