সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা বুয়েটের ২৪ শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার হওয়া ৩৪ জন শিবিরকর্মী বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে তাহিরপুর থানার ১ নম্বর শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাটলাই নদীর পাড়ে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় শহীদুলের নৌকা থেকে ওই ৩৪ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, জানমালের ক্ষতিসাধন, রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে বুয়েট শাখার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বায়তুল মাল বিষয়ক সম্পাদক আফিফ আনোয়ারের নেতৃত্বে তারা হাওরে একত্রিত হয়েছিলেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাঈদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতদের তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ৩৩টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন কার্যক্রম সংক্রান্ত স্ক্রিনশটের কপি, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কল্যাণ তহবিল সংক্রান্ত প্রচারপত্র, সদস্য ও সাথীদের পাঠযোগ্য কোরআন ও হাদিসের সিলেবাস, কর্মী ঘোষণা অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত স্ক্রিনশটের কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় তাহিরপুর থানার এসআই রাশেদুল কবির বাদী হয়ে আটককৃত ৩৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন।
সোমবার বিকেলে সব আসামিকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘তাহিরপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে সরকারকে বিব্রত অবস্থায় ফেলার উদ্দেশ্যে সবার নজরের আড়ালে গিয়ে ভাড়া নৌকায় করে হাওরে গোপন মিটিং করছিলেন তারা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিবিরকর্মী বলে জানা গেছে। তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানতে দ্রুত রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ড শেষে তাদের মূল পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।’